
বান্দরবানে কৃষিতে প্রযুক্তিগত ব্যবহারে কৃষকের মুখে হাসি
মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চাষাবাদের ক্ষেত্রে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক কৃষি ব্যাবস্থাপনার সাথে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির,কৃষিতে প্রযুক্তিগত ব্যবহারে পিছিয়ে নেই পার্বত্য জেলা বান্দরবান।
শস্য কর্তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তালেব, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিঃউপ-পরিচালক (উদ্যান) তৌফিক আহমেদ নুর,বান্দরবান রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা।
বান্দরবানে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার রাজবিলা, উদালবনিয়ায়, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর বাস্তবায়নে ২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি পূর্নবাসন সহায়তা খাত হতে রবি মৌসুমে উপজেলার ৫০ একর কৃষি জমিতে বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো।
এই পদ্ধতিতে ৫০ জন কৃষককে মাঠ পর্যায়ে বীজতলা তৈরী থেকে শুরু করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন ও জমি হতে ধান কাটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর উৎসব আর আনন্দের পর সমলয় চাষাবাদের সাথে সংশ্লীষ্ঠ ৫০ জন কৃষকের ৫০একর জমির ধান মেশিনের মাধ্যমে কেটে ঘরে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
সল্প সময় আর অল্প পরিশ্রমে ঘরে তুলতে পারায় খুশি কৃষকরা। ১৩মে সদর উপজেলার রাজবিলা, উদালবুনিয়ায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক মাঠ পর্যায়ে সমলয় পদ্ধতিতে চাষকৃত ৫০ একর জমির ধান কর্তনের উদ্বোধন পরবর্তী কৃষকদের চাষাবাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে কথা বলেন।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এম এম শাহ নেওয়াজ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য কৃষকদের সমকালীন চাষাবাদে, কৃষকদের একসাথে চারা রোপন থেকে শুরু করে ফসল কর্তন, কৃষিতে নতুন প্রযুক্তির ব্যাবহার সম্পর্কে কৃষকদের অবগত করা। পরে প্রধান অতিথি এই এলাকায় চাষাবাদে কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে জানতে তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় কালে স্থানীয় কৃষকরা চাষাবাদে তাদের বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিষয় তুলে ধরেন। এসময় জেলা প্রশাসক কৃষক, কৃষাণীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই পদ্ধতিতে কৃষকরা উপকৃত হবে,আগামীতে উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। এসময় স্থানীয় কৃষকদের সকলের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক, এবং যে কৃষক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না তাদের কৃষি প্রণোদনা দেয়া হবে না বলে জানান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমলয় চাষাবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, কৃষাণী।