ভারতের কর্ণাটকের ধারওয়াদ জেলার ইনাম বীরপুর গ্রামে গত রবিবার নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতে এক ২০ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা তরুণী খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এক দলিত যুবককে বিয়ে করার অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মানিয়া পাতিল নামের ওই তরুণী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরিবারের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি বিবেকানন্দ ডডডামনি নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, মানিয়ার বাবা প্রকাশগৌড়া এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে লোহার পাইপ দিয়ে মানিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মানিয়ার বাবা এবং পরিবারের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
মানিয়া লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের ছিলেন, অন্যদিকে বিবেকানন্দ দলিত সম্প্রদায়ের।
ধারওয়াদ জেলার পুলিশ সুপার গুঞ্জন আর্য জানান, পরিবারের কাছ থেকে সহিংসতার ভয়ে গত মে মাসে হুব্বাল্লী গ্রামীণ থানায় উপস্থিত হয়ে এই দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি আরও জানান, পুলিশ মানিয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা এই বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মানিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিবেকানন্দের বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর দলিত অধিকার কর্মীরা মানিয়ার মরদেহ নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। তারা এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।





