স্বরূপে সাকিব, জেতালেন দলকে

প্রথমবার আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে গিয়ে ভালো করতে পারছিলেন না সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ম্যাচে এসে খুঁজে পেলেন নিজেকে। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর অপরাজিত ব্যাটিংয়ে এআই এমিরেটসের জয়ের নায়ক বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে রোববার ডেজার্ড ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। পরে ২৫ বলে অপরাজিত ১৭ রানে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি।

সাকিবের করা ২৪ বলের অর্ধেকই ডট ছিল, বাইন্ডারি হয়নি একটিও। ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনিই।

খুব ভালো ছন্দে না থাকার পরও সবশেষ ৯ ম্যাচের মধ্যে ২ বার ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে দিলেন সাকিব। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নিয়ে ৪৫ বার ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন তিনি।

সেরার স্বীকৃতিতে এখন রাশিদ খান ও অ্যালেক্স হেলসের পাশে সাকিবের নাম। ৫২৪ ম্যাচ খেলে ৪৫ বার সেরা হয়েছেন হেলস, ৫০৪ ম্যাচ খেলে রাশিদ। তাদেরকে ছুঁতে সাকিবের লাগল ৪৬৫ ম্যাচ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই তিনজনের চেয়ে বেশিবার ম্যাচ সেরা হয়েছেন কেবল তিন ক্রিকেটর। যৌথভাবে তালিকার দুইয়ে আছেন কাইরন পোলার্ডগ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৭২৮ ম্যাচ খেলে ৪৮ বার সেরা হয়েছেন পোলার্ড, ৪৮৯ ম্যাচ খেলে ৪৮ বার ম্যাক্সওয়েল

টি-টোয়েন্টির অনেক রেকর্ডের মতো এখানেও অনেকটা এগিয়ে থেকে সবার ওপরে ক্রিস গেইল। ৪৬৩ ম্যাচ খেলে ৬০ বার সেরার পুরস্কার জিতেছেনইউনিভার্স বস।’

আসরে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সাকিবের। অভিষেক ম্যাচে শারজাহ ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ১২ বলে ১৬ রান করার পর তাকে তুলে নেয় দল। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো হন রিটায়ার্ড আউট। পরে বোলিংয়ে ২ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য

৪ ম্যাচ পর গত শনিবার আবার সুযোগ পান সাকিব। আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। পরে বোলিংয়েও পারেননি দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে। ২ ওভারে ২০ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।

ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে তাই সাকিবের একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল কিছুটা। তবে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ওপর আস্থা রাখে দল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তার প্রতিদান দিলেন একসময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার