ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির দাফনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশের কবরস্থানে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কবরস্থানের ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সোয়াট টিম ও সাদা পোশাকে ডিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ এখানে দাফনের কথা থাকায় যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগেভাগেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কবর খোঁড়াসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কবরস্থানের ভেতরে ও বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক টিমও কাজ করছে৷
কবরস্থানের মূল ফটক ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সামনেই সারিবদ্ধভাবে বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পুরো এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকি করতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, জানাজা ও দাফনকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে। তার জানাজায় অংশ নিতে এরইমধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনি প্রচারণা শেষে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি৷




