
শিল্প লাইসেন্সপ্রাপ্ত কারখানায় কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর আরোপিত ফি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।
অর্থনৈতিক ও উন্নয়নবিষয়ক পরিষদের (সিডা) সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, শিল্পখাতকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করতে এবং দেশীয় কারখানাগুলোর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একটি শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্প অর্থনীতি গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য।
শিল্প ও খনিজসম্পদমন্ত্রী বান্দার আলখোরায়েফ বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের ফি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সৌদি আরবে টেকসই শিল্প উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
এ জন্য তিনি বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই দফা ছাড় কার্যকর থাকায় সরকার গত ছয় বছরে উল্লেখযোগ্য আর্থিক দায় বহন করেছে।
এর ফলেই শিল্পখাতে গুণগত প্রবৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে আলখোরায়েফ বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮ হাজার ৮২২ থেকে বেড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়েছে।
একই সময়ে শিল্প বিনিয়োগের পরিমাণ ৯০৮ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.২২ ট্রিলিয়ন রিয়ালে। তেলবহির্ভূত রপ্তানি ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮৭ বিলিয়ন থেকে ২১৭ বিলিয়ন রিয়ালে পৌঁছেছে।
এ ছাড়া কর্মসংস্থান ৪৮৮ হাজার থেকে বেড়ে ৮৪৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে, সৌদিকরণ হার ২৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১ শতাংশ হয়েছে এবং শিল্পখাতের জিডিপি ৩২২ বিলিয়ন রিয়াল থেকে ৫০০ বিলিয়নের বেশি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে কারখানাগুলোর পরিচালন ব্যয় কমবে, উৎপাদন ও সম্প্রসারণ সহজ হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি যেমন অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়বে। এর মাধ্যমে সৌদি শিল্পখাতের দক্ষতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি আরও জানান, সরকার শিল্পখাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী দিনে ১ ট্রিলিয়ন রিয়াল মূল্যের ৮০০ বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টি, ২০৩৫ সালের মধ্যে শিল্প জিডিপি প্রায় তিনগুণ বাড়িয়ে ৮৯৫ বিলিয়ন রিয়ালে উন্নীত করা এবং সৌদি আরবকে বৈশ্বিক শিল্প শক্তিতে পরিণত করাই সরকারের লক্ষ্য।





