
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি জর্দা কারখানায় পালিত চারটি জার্মান শেফার্ড কুকুরের আক্রমণে এক নারী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। কুকুরের কামড়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে।
ঘটনার পর আহত নারীকে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
পুলিশ অভিযান চালালে জর্দা কারখানার মালিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে কারখানার ম্যানেজার আইয়ুব আলী (৫৫)কে আটক করে পুলিশ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত নারীর নাম মুক্তারিনা বেগম (২৮)।
তিনি স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরে একটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ির পাশের সৈয়দপুর পার্বতীপুর সড়কে ভ্যানের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মুক্তারিনা।
এ সময় কারখানার চারটি জার্মান শেফার্ড কুকুর হঠাৎ তাকে ঘিরে ধরে।
আতঙ্কে চিৎকার করলে কুকুরগুলো আরও হিংস্র হয়ে ওঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়াতে থাকে। মাথায় আক্রমণ করে গুরুতর জখম করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এলাকার বাসিন্দা নগেন নামের এক ব্যক্তি জানান, কুকুরগুলো সাধারণত নিয়মিত খাবার পেত।
তবে কয়েকদিন খাবার না দেওয়ায় সেগুলো উত্তেজিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।




