
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ টেস্ট সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করেন তাইজুল ইসলাম। বল হাতে প্রতিপক্ষের জন্য রীতিমতো আতঙ্কে রূপ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। এতে আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার লড়াইয়ে জায়গা করে নিলেন তিনি। গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে মাসসেরার দৌড়ে থাকা ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পুরুষ বিভাগে তাইজুলের সঙ্গে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অফ স্পিনার সাইমন হার্মার ও পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ।
চেনা কন্ডিশন ও উইকেটে ধারাবাহিক তাইজুল আবারও জ্বলে ওঠেন আইরিশদের বিপক্ষে। টেস্ট সিরিজে সফরকারীদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পথে বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। দুই ম্যাচে ২৬.৩০ গড়ে শিকার করেন ১৩ উইকেট। ফলে তার হাতেই ওঠে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। সিলেটে প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ছিলেন আরও দুর্ধর্ষ। দুই ইনিংসেই নেন চারটি করে উইকেট। পাশাপাশি ওই ম্যাচ চলাকালে টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। এখন পর্যন্ত খেলা ৫৭ টেস্টে ৩১.০৬ গড়ে তাইজুলের শিকার ২৫০ উইকেট। তিনি ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৭ বার। আর ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন দুবার। যার রেকর্ড তাইজুল ভেঙে দিয়েছেন, সেই সাকিব আল হাসানের ৭১ টেস্টে ৩১.৭২ গড়ে প্রাপ্তি ২৪৬ উইকেট।
তার সঙ্গে মনোনীত হওয়া বাকি দুজনও আছেন সেরা ফর্মে। ২৫ বছর পর ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ জয়ের নায়ক ছিলেন হার্মার। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ¯্রফে ৮.৯৪ গড়ে তিনি নেন ১৭ উইকেট। কলকাতায় প্রথম টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়ার পর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টে শিকার করেন ৯ উইকেট। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নওয়াজ। এরপর শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আলো ছড়ান তিনি। ওয়ানডেতে ১১৪.২৮ স্ট্রাইক রেটে ১০৪ রানের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ১১ উইকেট নেন মাত্র ১২.৭২ গড়ে।
একই দিন নারী ক্রিকেটের সেরা বাছাইয়ে মনোনীত তিন জনের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন- ভারতের ব্যাটার শেফালি ভার্মা, থাইল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার পুথাঅং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অলরাউন্ডার এশা ওঝা।





