বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনি নোটিশ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এ নোটিশ পাঠান।

আজ মানবাধিকার সংগঠন ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাঈম সরদার ও শাহ সারোয়ার সালফ শাওনের পক্ষে ইমেইলের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠানো হয়। নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী) ভোটারদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী ভোটার কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ৩০ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী ভোটার থাকলেও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাঁদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ভোট দিতে পেরেছিলেন। প্রতিবন্ধী ভোটারদের ৯০ শতাংশই নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে নোটিশে দাবি করা হয়।

নোটিশে প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিবন্ধীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বাড়াতে মনোনয়নপত্রে জামানত থেকে অব্যাহতি দেওয়া, নির্দিষ্ট সংখ্যক সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য ব্রেইলি ভোটিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া।

নোটিশে আরও বলা হয়, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭৩ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ভোটারদের অংশগ্রহণের বিধান থাকলেও বাস্তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় নির্বাচন অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পাঁচ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।