বাংলাদেশের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোকে আরও উন্নত ও পরিবেশবান্ধব করতে নরওয়ে সরকার সহযোগিতা করার আশ্বাস

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিল্প এলাকায় অবস্থিত — পিএইচপি,এসএন করপোরেশন, ও যমুনা এই তিনটি শিপইয়ার্ড
পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হোকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসন।

রবিবার ২৬ অ‌ক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিনটি শিপব্রেকিং ও শিপবিল্ডিং কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং শ্রমিক কল্যাণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের ডিরেক্টর জেনারেল মি. জন অলভ বারই, সিনিয়র উপদেষ্টা মি. মোরশেদ আহম্মেদ, প্রোগ্রাম অফিসার মিসেস সেপার সেলিমসহ ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও সাংবাদিকবৃন্দ।

রাষ্ট্রদূত হোকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসন পরিদর্শন শেষে বলেন, “বাংলাদেশের শিপ রিসাইক্লিং খাত ক্রমেই আধুনিকায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। হংকং কনভেনশনের আওতায় গ্রীন শিপইয়ার্ডগুলো এখন আন্তর্জাতিক মানের দিকে এগোচ্ছে। নরওয়ে সরকার এই খাতে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই সফরে এসে আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। বাংলাদেশের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোকে আরও উন্নত ও পরিবেশবান্ধব করতে নরওয়ে সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ তাঁকে ইয়ার্ডের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন অর্জনের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে অবহিত করে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের এই পরিদর্শন বাংলাদেশের শিপ রিসাইক্লিং শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।