চট্টগ্রাম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ (শনিবার):
চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে “বন্দর রক্ষায় শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম” নামে একটি সংগঠন। শনিবার সকালে আগ্রাবাদ মোড়ে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন—দেশের লাভজনক ও কৌশলগত সম্পদ বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
বক্তারা অভিযোগ করেন, নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
তারা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিবছর আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি লাভ করছে। অথচ বিদেশি স্বার্থে বন্দর ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক।” বক্তাদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই, এবং জনগণের মতামত ছাড়াই এই পদক্ষেপ দেশবিরোধী চক্রান্তের অংশ।
বক্তারা আরও বলেন, সরকার এক মাসের জন্য বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যেন জনগণ প্রতিবাদ জানাতে না পারে। তারা হুঁশিয়ারি দেন— “দেশবিরোধী এই চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা চললে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা। বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জাহিদউদ্দিন শাহীন, গণঅধিকার চর্চা কেন্দ্রের মশিউর রহমান খান, প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক, ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক লাবণী আকতারসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সেক্রেটারি সত্যজিৎ বিশ্বাস।
সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়,
আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ, এবং ১ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে স্কপের অনশন ধর্মঘট কর্মসূচিতে সংহতি জানানো হবে।
মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্টগ্রাম