সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ভাটিয়ারী সী গোল্ড ফিলিং স্টেশনের অংশীদার সিরাজুল ইসলামকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র।

সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ভাটিয়ারী সী গোল্ড ফিলিং স্টেশনের অংশীদার সিরাজুল ইসলামকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র।

কাইয়ুম চৌধুরী
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীস্থ সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন এর অংশীদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন  সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন এর অংশীদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০০৩ সালে ১২ গণ্ডা জায়গায় একটি “সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন” নামীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করি আমি এবং পার্টনার মোস্তাকিম। ২০০৩ সালের ৩ই মার্চ আমাদের মধ্যে একটি ব্যবসায়ীক চুক্তিনামা হয় ১০০০ টাকার স্ট্যাম্প এ। “সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন” এর কাজ সম্পূর্ণ করতে ক্যাশ টাকার প্রয়োজনে আমি ও মোস্তাকিম উভয়ে ব্যাংক হতে একটা লোন নেয়। যেখানে আমি ছিলাম মর্টগেজর ও গেরেন্টর এবং  মোস্তাকিম ছিল প্রোপ্রাইটর। “সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন” চালু হওয়ার পর থেকে ব্যবসা ভালোই চলছিল। বছর খানেক পরে “সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন” এর লভ্যাংশের টাকা দিয়ে একটি রোলিং মিল, একটি তিন তলা ভবন, তামার ফ্যাক্টরি ও একটি গরুর খামার গড়ে তুলি। এছাড়া ও সরকারি লিজের জায়গায় ৩ টি গোডাউন তৈরি করা হয়। ২০১১ সাল থেকে অংশীদারি হিসাব নিয়ে লভ্যাংশ ও দায়-দেনা পরিপূর্ণ ভাবে হিসাব সম্পূর্ণ করতে চাইলেই শুরু হয় বিভিন্ন অজুহাত। কিন্তু থেমে থাকেনি ব্যবসা ও যৌথ ভাবে জমি ক্রয় করা। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে আমাকে বাধ্য করে প্রতিষ্ঠানে না যাওয়া জন্য। এলাকার গণ্যমান্য ব্যবসায়ীক ব্যক্তির সহায়তায় শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাইলেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। । “আটলান্টিক ইন্টারন্যাশনাল” নামীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসা শুরু করে আমরা ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যৌথ ভাবে জায়গা ক্রয় করি। আমাদের মোট ৪১টি দলিলে জায়গা আছে। প্রত্যেকটি দলিল এ দুজনের নাম আছে এবং দুজনের নামে সমান ভাগে অংশ করা আছে। আমাদের মোট ১২ টি নামজারি খতিয়ান সৃজন আছে। ২০২০ সালে মোস্তাকিম মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর ছেলে আল আমিন পারভেজ দীপ্ত ও আল হামিদ তুর্য আমাকে বলছে আমি নাকি মৃত মোস্তাকিম এর কর্মচারী ছিলাম যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মূলত সে আমার ব্যবসায়ীক সমান অংশীদার ছিল। মোস্তাকিম মারা যাওয়ার পরে সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন ওয়ারিশগণ দখল করে রেখেছে এতে করে কোটি কোটি টাকার মেশিনারি, বিভিন্ন মালামাল নষ্ট হচ্ছে ও স্ক্র্যাপ এ পরিণত হচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় চোর বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন” এবং অন্যান্য সম্পত্তির মোট ৪১টি দলিল ও ১২টি খতিয়ান এর সকল জায়গার সমান অংশীদার সিরাজ ও মোস্তাকিম। মোস্তাকিম মারা যাওয়ার পর তাঁর ওয়ারিশগণ ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধে এগিয়ে না এসে উল্টো আমার বিরুদ্ধে কিছুদিন পর পর মিথ্যা চুরির অভিযোগ করেন, যাতে আমার ২০১৩-২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী পাওনা টাকা দিতে না হয়। মৃত মোস্তাকিম এর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আদালত ক্রোক করার পর উক্ত জায়গায় মোস্তাকিম এর ওয়ারিশগণের কোন অধিকার আইনি ভাবে গ্রহণযোগ্য নহে। এমতাবস্থায় বাদী উক্ত ক্রোককৃত সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ করা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। আমার জায়গায় আমি গেলে তাঁরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগ করেছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার সিরাজুল ইসলাম, ইয়াকুব কাউসার বাপ্পি, আশেকুল ইসলাম সাব্বির, মুহাম্মদ রাশেল  ও মুস্তাফিজুর রহমান।