ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণকারী যুবলীগ নেতা টিটুর অস্ত্র উদ্ধার হয়নি

যুবলীগ নেতা টিটুর অস্ত্র উদ্ধার হয়নি?


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-

পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণকারী জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সাইফুল হাসান টিটুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (২১ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পটিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও গত বছর ৪ ও ৫ আগষ্ট প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা টিটুর অস্ত্র সহ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। রহস্যজনক কারণে তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না বলে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কর্মী সুএে জানা যায়।

পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল হাসান টিটু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার একদিন আগে পটিয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিল ও আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে টিটুর বিরুদ্ধে।

গণমাধ্যমে তার অস্ত্র হাতে ছবি প্রকাশিত হয়। তবে পুলিশ তাকে ৯ মাস পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তার ব্যবহ্ত অস্ত্রটি উদ্ধার করার জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করবে আদালতে। টিটু ঘনিষ্ঠ সহযোগি তার জঙ্গখাইন ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার আমিনুল হক এখনোও ধরা ছুঁয়ার বাইরে রয়েছে। আমিনুল হক চৌকিদার টিটুর ঘনিষ্ঠ সহযোগি ছাড়াও অস্ত্রর বিষয়ে চৌকিদার আমিনুল হকের আরোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে গোপন সুএে জানায়। আমিনুল হক

আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞেসাবাধ করলে অপরাধ কর্মকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে এলাকার সচেতন মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়। পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যুবলীগ নেতা সাইফুল হাসান টিটু নিজেই ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিল ও আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।

সিসিটিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার হাতে অস্ত্রের ছবিটি প্রকাশ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি মামলা, সহিংসতাসহ আরো কয়েকটি মামলা রয়েছে। পটিয়া বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী ও ও বৈষম্য বিরোধী ছাএনেতারা টিটু কাছ থেকে আগ্নে অস্ত্রটি উদ্ধারের জোর দাবি জানান। এছাড়াও টিটু ১৯৯৯ সালে একটি ডাকাতির ঘটনায় বেশ কিছু জেল কেটে ছিল। অপর একটি সুএে জানায় বিএনপি গ্রুফিং থাকায় একটি পক্ষ টাকার বিনিময়ে তার পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠে।