
সীতাকুণ্ডে জামায়াতের প্রতিবাদ
সভায় সংঘর্ষ আহত ১০
,সীতাকুণ্ড ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও জামায়াতের নেতা শহিদুল ইসলামের উপর হামলার প্রতিবাদে সলিমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা আজ শুক্রবার বিকেল ৪ টায় জঙ্গল সলিমপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
জুমার নামাজের পরে জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ জামায়াত নেতারা সমাবেক স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ২০-৩০ জনের একটি দল সমাবেশ উপস্থিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী হোন, আব্দুস সালাম।
হামলায় সীতাকুণ্ড উপজেলা জামাতের যুগ্ন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটার কুতুব উদ্দিন শিবলীসহ ১০ জনের অধিক আহত হয়েছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামাতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ জামাতের ৭/৮ জন নেতা কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সীতাকুন্ড উপজেলা জামাতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবাদ সভায় উপজেলা ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ সমবেত হলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সভা পন্ড করে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে দুই জামায়াত নেতাসহ ১০ জনের অধিক জামায়াত নেতা গুরুতর আহত হযেছে বলে দাবী করেন। এদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আলাদা ভাবে প্রোগ্রাম করছিল। এ সময় বিএনপি সমর্থিত
কিছু লোক এসে সভায় অতর্কিত হামলা করে। এতে জামায়াত কযেকজন নেতাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের বিএনপি ও জামায়াত কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে সলিমপুর ইউনিয়নের বিএনপির কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়,বিএনপির সমাবেশস্হল তারা দখল করে নিলে এতে কিছু তর্কবিতর্ক হয়েছে, মারামারি বা গুলাগুলি হয়নি।