আগে ছিলেন আওয়ামীগ নেতার ছত্রছায়ায়,৫ আগষ্টের পর বনে গেলেন জামাত,
সাংবাদিকতার আড়ালে শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্রের দৌরাত্ম্যে হুমকিতে জনমন।
সীতাকুন্ড প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাংবাদিকতার আড়ালে একটি চাঁদাবাজ চক্র ইদানিং বেশ শক্তিশালী অবস্থায় পৌঁছেছে। এরা এখন নিজেদের বি এন পি জামায়াত দাবি করে। অথচ ৫ আগষ্টের আগে তারা কেউ আওয়ামী সরকারের বেয়াদব নেতা হাসান মাহমুদ এর নাম বিক্রি করে প্রভাব খাটাতেন,কেউ অবৈধ এমপি মামুনের নামে প্রভাব খাটাতেন,কেউ জেলা পরিষদের সদস্য দিলশাদের নাম বিক্রি করে প্রভাব খাটাতেন, আর ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর এই ভূমি অফিসের দালাল,চাঁদাবাজরা কেউ বি এন পি, কেউ জামায়াতের সক্রীয় কর্মী,নেতা দাবী করেন। আর এসব দলের দুএকজন নেতা তাদের কে অন্ধের মত বিস্বাস করে সমর্থন করে যাচ্ছেন।
বিএনপি,জামায়াত সংশ্লিষ্ট সবাই জানে এরা মুল ধারার কোন বি এন পি বা জামায়াত সমর্থক কখনো ছিলেন না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শারিরীক প্রতিবন্ধী এম কে মনির, ইলিয়াস ভুইয়া প্রকাশ লেইংগা ইলিয়াস সহ ৪/৫ জনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এরা বেশ কয়েকটি পেইজ গোপনে চালায়।sitakund news24. com, Sitakunda Tv, Sitakunda Timeline সহ কয়েকটি পেইজে তারা কোন একটা ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী হতে টাকা পেয়ে তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখালিখি করে, মানসিক ভাবে জিম্মি করে তারা আপোষে বসার আহবান করে এবং একটা ভাল এমাউন্ট পেলে তারা লিখা কেটে দেয় বা বিপরীত ভাবে লিখে।এসব আইডি দিয়ে সম্প্রতি তারা বি এন পি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই নিজাম চৌধুরী,বালু তোলা নিয়ে ছোট ভাই আমজাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ, পৌর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী বেলাল হোসেন, জামায়াত সমর্থক সমাজকর্মী আশরাফুল আলম ভুইঁয়া,সাংবাদিক এম,হেদায়েত, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা,রেজিষ্টার সহ বিভিন্ন জনকে তাদের ফাঁদে পেলার চেষ্টা করেছে।
এই চক্রের সাথে কয়েকজন ভূমি অফিসের দালাল, সাংবাদিক ও জড়িত রয়েছে। বিভিন্ন গোপন তথ্য হতে জানা যায় ৪ জন ব্যাক্তি এরকম ফেক আই ডি গুলো চালাচ্ছে। ১ জন বাড়বকুণ্ড কুমিরার দিকে বসে বাকিরা সীতাকুণ্ড সদর ইত্যাদি ল্যাব এবং আশে পাশে বসে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এ চারজনই বর্তমান সর্বশেষ প্রেস ক্লাব দখলে সক্রিয় সদস্য। এরা অনেকেই নিজেদের জামায়াত, বা বিএন পি দাবি করলেও, বি এন পি জামায়াত সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন এরা মূল ধারার কোন বি এন পি বা জামায়াত নয়। প্রতারক এই চক্রটির অন্যতম হল ইলিয়াস ভুইয়া এবং এম কে মনির,মেহেদী হাসান।এদের বয়স তুলনামূলক কম হওয়াতে এদের সহজে যে কেউ অপকর্মে নিয়োজিত করতে পারে। রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী সরকারি অফিস এদের টার্গেট। সম্প্রতি সীতাকুণ্ড সরকারি হাসপাতালের কিছু অনিয়ম নিয়ে একটি পত্রিকায় লিখা হয়েছিল, সাথে সাথে ইলিয়াস হাসপাতালে গিয়ে চা পানির পয়সা নিয়ে ৪ দিন পর সব অনিয়ম গুলোকে নিয়ম হিসেবে পাল্টা নিউজ করলো। সূত্রে জানা যায় সম্প্রতি টেরিয়াইল ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সানাউল হক হতে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে তিনি চাঁদা না দেওয়াতে ঘুষের নিউজ করে দেন দুই দিন পর এই চক্রটি। মারাত্মক ঘুষখোর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন তাদের। এ ব্যাপারে টেরিয়ালের স্থানীয় অনেকের সাথে গোপনে কথা বলে জানা গেছে সীতাকুণ্ড এবং দেশের বেশিরভাগ ভূমি অফিসে যেরকম নিয়মের বাইরে বাড়তি কিছু নেওয়া হয়, টেরিয়াইল ও একই ছিল, তবে সীতাকুণ্ডের আর কোন ভূমি অফিস নিয়ে না লিখে কেন টেরিয়াল অফিস নিয়ে লিখলেন তা রহস্যজনক। ইলিয়াস ৫ আগস্ট ২০২৪ এর আগ পর্যন্ত ছিল আওয়ামিলীগের দালাল, মুজিব কোট পড়ে নিয়মিতই আওয়ামিলীগ নেতাদের পিছনে ঘুরতেন। তাদের সার্বক্ষনিক লিখালিখির বিষয় ছিল আওয়ামিলীগ বন্দনা। এমন কি এদের ট্যাগিং দেখে বুঝা যায় ফেসবুকে লিখার পর তারা আওয়ামিলীগের সকল নেতাকর্মীদের ট্যাগ করে দিতেন। এমন কি ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধেও সে লিখালিখি করেছেন। ৫ আগস্টের পর এরা পল্টি মেরে হয়ে গেলেন কট্টর জামায়াত,বিএনপি কর্মী। মনির একুশে পত্রিকার উপদেষ্টা মন্ত্রী হাসান মাহমুদের দাপটে চললেও ৫ আগষ্টের পর জামায়াত সেজে দখলে মেতে উঠেন,থানার গেইটের সামনে জায়গা দখল করে তাবু টাঙ্গিয়ে দেন।জামায়াতের এক জেলা নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে,পুলিশ ও জনতার প্রতিরোধে দখল ছাড়কে বাধ্য হন। ৭ আগষ্ট ইত্যাদি ল্যাব ভবনে চাঁদাবাজ ইলিয়াছের অফিসকে প্রেসক্লাব বানিয়ে প্রেসক্লাব ঘোষনা দেয়ে সাইবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। এই প্রেসক্লাব পাবলিক,প্রশাসন খায়নি বলে মূল প্রেসক্লাব দখলের পরিকল্পনা করেন,৭ ই ফেব্রুয়ারী ক্লাবের নির্বাচনে পরাজিত দুই সাংবাদিক জহির ও জাহাঙ্গীরের সাথে আতাঁত করে তালা ভেঙ্গে দখল করে নেন। তাদের কে এক জামায়াতনেতা ও দুই বিএনপির নেতা অর্থ সহ বিভিন্ন সহযোগীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলের পর প্রেসক্লাবের আলমারী ভেঙ্গে টাকা,প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে,ব্যাপক ভাংচুর করে এই চাঁদাবাজরা।এরপর এরা আরো বেপোয়ারা হয়ে উঠে,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জামায়াত,বিএনপির ক্যাডার,সমর্থকদের কে এনে সদস্য করে নেন এদের শক্তি বাড়াতে।সীতাকুণ্ড এক মার্কেটের মালিক সেলিম মাহমুদ কে প্রথমে প্রেসক্লাবের কার্ড পরে প্রাক্ষিক উত্তর চট্রলা পত্রিকার কার্ড করে দেন।তিনি বাজার কমিটির সেক্রেটারী বেলাল হোসেনের সাথে দ্বন্ধে সাংবাদিক হয়ে শক্তি লোকবল বাড়িয়েছেন।তিনি ৫ আগষ্টের আগে এমপি মামুন কে অভিনন্দন দিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিজ্ঞাপন ও দিয়েছিলেন।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সীতাকুন্ড থানার এএসপি,ওসি এবং বিভিন্ন স্তরের কতৃপক্ষ যদি এদের বিরুদ্ধে এখনই কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সামাজিক নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা বাড়তে পারে। সাংবাদিক সমাজের প্রতি মানুষের অনাস্থা অবিশ্বাস অনেকগুন বেড়ে যাবে।তারা সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিকতা করলে সীতাকুন্ডবাসী তাদের ক্ষমা করবে।