নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামের পুত্রবধূ মৌ আক্তার (২২) দেবর ও শ্বশুরের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৭মার্চ,বৃহস্পতিবার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী মৌ আক্তার ধর্মপাশা উপজেলার চকিয়াচর গ্রামের জগলুল মিয়ার কন্যা। গত চার বছর আগে মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামের নুরুল হুদার (নূরনবী) ছেলে সাজমুল হোসাইনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্যে তাকে চাপ দিতো। টাকা না দিলে তাকে অমানবিক নির্যাতন করতো।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। ইতোমধ্যে তাদের এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে মৌ চাকুরী করতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী তাকে মারধর করে। গত একসপ্তাহ আগে ঢাকায় খালি বাসায় তাকে বেধড়ক মারপিট করে। তারপর মৌ আক্তারকে ঢাকা থেকে বাড়িতে এনে আবারও মারধর করে বাড়ি থেকে বের দেয়। তার স্বামী বলে, যদি সে চাকুরী না করে আমি তাকে নিয়ে সংসার করবো না।
পরে পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে তাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে সাজমুল ঢাকায় চলে যায়।
এদিকে বাড়িতে তার সাথে আবারও শুরু হয় অমানবিক ও অসহ্য আচরণ। গত ২৫ মার্চ, বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার স্বামীর নির্দেশে তার দেবর ও শ্বশুর মিলে তাকে খুব মারধর করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহত মৌ আক্তারের মা জাহেরা বেগম মোহনগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুত্রবধূ ঘর ছাড়া দেবর-শ্বশুরের নির্যাতনে
দেবর-শ্বশুরের নির্যাতনে আহত পুত্রবধূ ঘর ছাড়া
মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ
জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা।
নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামের পুত্রবধূ মৌ আক্তার (২২) দেবর ও শ্বশুরের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৭মার্চ,বৃহস্পতিবার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী মৌ আক্তার ধর্মপাশা উপজেলার চকিয়াচর গ্রামের জগলুল মিয়ার কন্যা। গত চার বছর আগে মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামের নুরুল হুদার (নূরনবী) ছেলে সাজমুল হোসাইনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্যে তাকে চাপ দিতো। টাকা না দিলে তাকে অমানবিক নির্যাতন করতো।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। ইতোমধ্যে তাদের এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে মৌ চাকুরী করতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী তাকে মারধর করে। গত একসপ্তাহ আগে ঢাকায় খালি বাসায় তাকে বেধড়ক মারপিট করে। তারপর মৌ আক্তারকে ঢাকা থেকে বাড়িতে এনে আবারও মারধর করে বাড়ি থেকে বের দেয়। তার স্বামী বলে, যদি সে চাকুরী না করে আমি তাকে নিয়ে সংসার করবো না।
পরে পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে তাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে সাজমুল ঢাকায় চলে যায়।
এদিকে বাড়িতে তার সাথে আবারও শুরু হয় অমানবিক ও অসহ্য আচরণ। গত ২৫ মার্চ, বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার স্বামীর নির্দেশে তার দেবর ও শ্বশুর মিলে তাকে খুব মারধর করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহত মৌ আক্তারের মা জাহেরা বেগম মোহনগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফ্যাসিস্টের ৫৬,১৮৭ দোসর গ্রেপ্তার, ৭০ ভাগই জামিনে মুক্ত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাদিক কায়েমের
‘তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে যা অতীতে কোনো নেতা পাননি’
হাদির মতো এ রকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে, আশঙ্কা মির্জা ফখরুলের
সিন্ডিকেটের কবলে সারের বাজার, জিম্মি কৃষক
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ইঞ্জিন বিকল, যুক্তরাষ্ট্রে বিমানের জরুরি অবতরণ