
মদনে মিথ্যা মামলা করে একাধিক বার হয়রানি ও বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট ।
মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ
জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্ৰামের শিপা আক্তার ও তার অসহায় পরিবারের সাথে পাশ্ববর্তী গ্ৰাম নোয়াগাঁও এর টিফুন মিয়া পিতা লালু মিয়া ও সেলিম মেম্বার গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
তারি প্রলস্রুতিতে
গত ২২শে জুলাই ২০২৪ইং টিফন মিয়া ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবুল মিয়ার বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করে তিনটি বসবাস রত ঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় এবং এই দিনে বিকালে টিফুল মিয়া তার বোন আকলিমা আক্তার জিলুফা (৩৮)কে নিজে মেরে স্টোক করতে বাধ্য করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে । চালাকি ও চতুরতা করে মিথ্যা সাজানো কৌশলে অনৈতিক ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্ৰহ করে । এদিকে টিপন মিয়া ও সেলিম মেম্বার কর্তৃক হামলার শিকার হয়ে,মার খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিফা আক্তার ও তার বোন অম্বিতা,তার বাবা, নজরুল মিয়া ও মাতা মালেহা আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে হত্যা মামলায় তাৎক্ষণিক গ্ৰেফতার হয। অসুস্থ শরীর নিয়ে হাজতবাসে গিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে উচ্চ আদালত মাধ্যমে অস্থায়ী জামিন নিয়ে এসে শিখা আক্তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ীতে গিয়ে দেখে বসবাসযোগ্য তিনটি পাকা ও আধা পাকা ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে, গরু -বাছুর আসবাবপত্র ,স্বর্ণালঙ্কার সহ মোট অর্ধ কোটি টাকার সম্পদনিয়ে যায় টিপুল মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তিনটি ঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় ।এই পরিস্থিতিতে অসহায় শিফা আক্তার ও তার পরিবার প্রায় ৭মাস যাবৎ বাড়ী হারা,গৃহ হারা হয়ে জেল জুলুমের শিকার হয়েছে এক অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়। উল্লেখ্য যে বিগত কিছুদিন আগেও টিপুল মিয়া ও সেলিম গংদের হামলার শিকার হয়ে শিফা আক্তারের অন্তঃস্বত্ত্বা বোনের পেটের বাচ্চা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা যায়। এব্যাপারে অম্বিতা বাদী একটা মামলাও আছে টিপুল ও সেলিম গংদের বিরুদ্ধে। মারধর এর কারনে পেঠের বাচ্চা খুনের একটা মামলা ও করে ভোক্তভোগী শিফা আক্তারের বোন অম্বিতা।আর সেই বাচ্চা মারার মামলার কাউন্টার মামলা দায়ের করার জন্য ২২শে জুলাই পুনরায় আক্রমন করে বোনকে নিজেরা মেরে শিফা আক্তারের পরিবার কে ফাসিয়ে গ্ৰেফতার পূর্বক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসী টিপুল ও সেলিম গং। উপযুক্ত বিচার না পেয়ে এক মানবেতর জীবন যাপন করছে শিফা আক্তার ও তার পরিবার। ভোক্তভোগী পরিবার আমাদের প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করিলে,সরিজমিনে গিয়ে জনে জনে জিজ্ঞাসা ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সমস্ত প্রমাণাদি সংগ্ৰহ করে। ভোক্ত ভোগী পরিবার ভিডিও ফুটেজ এ উল্লেখ করে বলে যে,
বর্তমানে তারা টিপুল মিয়া ও সেলিম মেম্বার গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দিকবেদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে, গৃহহীন অবস্থায় নেত্রকোনা সদর এলাকায় কুড়পাড় মাষ্টার বাড়ী একটা দুই রুমের বাসা নিয়ে মা ,বাবা ,ভাই বোন ও স্বামী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছে ভোক্তভোগী শিফা আক্তার পিতা বাবুল মিয়ার পরিবারের আকুল আবেদন এই যে, আলোচিত দাঙ্গাবাজ ও লুঠেরা টিপুল মিয়া ও সেলিম মেম্বার গংদের কাছ থেকে পাশবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের হাত থেকে আমরা রেহাই পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুবিচার প্রার্থনা করেন।
সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এ শারিরিক আঘাত ও স্টোক জনিত কারন দুটোই উল্লেখ আছে ,তাই সেই অনুযায়ী আমরা বিজ্ঞ আদালত চার্জশিট দাখিল করেছি।
তদন্তে কোন ভুল ছিলনা ।তবে বিবাদী গনের অজোড় আপত্তি থাকলে বিজ্ঞ আদালত এ পুনরায় তদন্তের দাবি করার পরামর্শ দেন।