
সিএমপি’র পাঁচলাইশ থানা কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার উপর সরাসরি হামলাকারী, পাহাড় খেঁকো, ভূমিদস্যু ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম আটক
*প্রেস রিলিজি*cmp
গত ০৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার উপর সরাসরি হামলাকারী, পাহাড় খেঁকো, ভূমিদস্যু ও আকবরশাহ্ থানার ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আত্মগোপন করে আছে।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে পুলিশ কমিশনার
মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনায় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) এর নেতৃত্বে সিএমপি পুলিশ লাইন্সের একটি স্পেশাল টিম এবং পাঁচলাইশ থানার একটি আভিযানিক টিম যৌথভাবে ইং ০৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার সময় ডিএমপি, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বিলাস বহুল এপার্টমেন্টে অভিযান পরিচালনা করে ১। পাঁচলাইশ মডেল থানার মামলা নং-৩১, তারিখ: ২৮/০৮/২০২৪ খ্রি: ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/১০৯/ ৩৪ পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সনের বিষ্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৬ এর এজাহারনামীয় ১০৫ নং আসামী, ও ২। পাঁচলাইশ মডেল থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-১৮/০৮/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-১৪৭/১৪৮/
১৪৯/৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ তৎসহ ১৯০৮
সনের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৬, ৩। পাঁচলাইশ মডেল থানার মামলা নং-০৯, তারিখ: ২৭/১২/২০২৪ইং, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/১০৯
/৩৪ পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সনের বিষ্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৬ এর তদন্ত প্রাপ্ত আসামী জহুরুল আলম জসিম (৫৫)’কে গ্রেফতার করেন। উল্লেখ্য যে, বর্ণিত আসামী জুলাই-আগষ্টে সংগঠিত ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাষ্টিক এর বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিং এর সামনে বর্ণিত আসামী সহ আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা ইং ১৬/০৭/২০২৪ তারিখে বিকাল অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকা হইতে একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যকার সময়ে পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, ককটেল ও লাঠি-সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে ছাত্র জনতার উপর নৃশংষ ভাবে আক্রমন করলে ছাত্রদলকর্মী ওয়াসিম আকরাম, শিবিরকর্মী ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং ফার্ণিচার মিস্ত্রী মোঃ ফারুক নিহত হয় এবং ৪০/৫০ জন সাধারণ ছাত্র গুরুতর ভাবে আহত হয়। বর্ণিত আসামী জুলাই-আগষ্ট মাসে সংঘঠিত ছাত্র আন্দোলনের সময় নিজে সরাসরি ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে মর্মে সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।সিডিএমএস যাচাই করিয়া বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, বিস্ফোরক আইনসহ বিভিন্ন আইনে প্রায় মোট ১৮টি মামলা পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, উক্ত অভিযান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয় রাত জেগে ক্ষণে ক্ষণে অভিযানের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।