চট্টগ্রাম রাউজানে অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রসহ গ্রেফতার

ডেক্স রিপোর্ট : অপহরণকারী, অজ্ঞাতনামা  দুর্বৃত্তদের ছোড়া শটগানের গুলিতে রাউজান এলাকার অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী, বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ১টি রাম দা, ১টি বিদেশী রিভলবার , ৫ রাউন্ড গুলি এবং ১টি দেশীয় (এলজি), ২ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার। গত ২৪শে জানুয়ারি রাউজান থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকার শুটকি ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন ব্যক্তি জুমার নামাজ পড়তে যাবার সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এবং তার মামাতো ভাই মোঃ আব্বাস উদ্দিন আহত হন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের ছোড়া শটগানের গুলিতে ভিকটিমের মাথার পিছনে, পিঠে লেগে গুরুতর আহত হয় এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনার পরপরই রাউজান থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করে। ভিকটিমের ছেলে মাকসুদ আলম এর এজাহারের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের নামে রাউজান থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। ইতিমধ্যে রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দীন নামে দুজন’কে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকান্ডে জড়িতদের সনাক্ত করা হয় এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মনিরুল ইসলাম ভুইয়া এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার্স ফোর্স সহ থানা এলাকায় রাত্রিকালীন ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধার অভিযান করাকালে ০৫/০৩/২০২৫ইং তারিখ রাত ০২.০০ ঘটিকার সময় রাউজান থানাধীন পাহাড়তলী বাজার এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, রাউজান থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আরাফাত মামুন রাউজান থানাধীন পূর্ব গুজরা ইউপিস্থ গরীব উল্যাহপাড়ায় আসামী আরাফাত মামুন এর মামা মোহাম্মদ আজম এর বসতঘরে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর আসামী আরাফাত মামুন এর মামা মোহাম্মদ আজম এর বসতঘর ঘেরাও করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী আরাফাত মামুন তার সঙ্গীয় বিপ্লব বড়ুয়া তাদের হাতে থাকা উল্লেখিত অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি করার চেষ্টা করে পিছনের দরজা দিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় পিছু ধাওয়া করলে আসামী আরাফাত মামুন এবং বিপ্লব বড়ুয়াদ্বয়কে তাদের হেফাজতে থাকা অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে অস্ত্র গুলি রয়েছে সংক্রান্তে তথ্য প্রদান করে। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ১নং আসামী আরাফাত মামুন এর হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত ১। ০১টি বিদেশী রিভলবার, ২। রিভলবারে লোডেড অবস্থায় ০৫(পাঁচ) রাউন্ড রিভলবারের গুলি ও ১টি রাম দা, ২নং আসামী বিপ্লব বড়ুয়া এর হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত ৩। একটি কাঠের বাটযুক্ত ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৪। ০২(দুই) টি লাল রংয়ের কার্তুজ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। উপস্থিত সাক্ষী ও লোকজনের সম্মুখে ধৃত আসামীদ্বয়দের উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় যে উল্লেখিত অস্ত্র গুলির কোন বৈধ লাইসেন্স নাই। তারা উক্ত অস্ত্র ও গুলি দিয়ে অপহরণ, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত আসামীদ্বয় নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা শুটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম এর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে।জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় আসামী হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র গুলি এর বিষয়ে এসআই কাউছার হামিদ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে রাউজান থানার মামলা নং-১, তাং-০৫/০৩/২০২৫ইং, ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের 19A/19(f) রুজু হয় মাথার পিছনে, পিঠে লেগে গুরুতর আহত হয় এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনার পরপরই রাউজান থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করে। ভিকটিমের ছেলে মাকসুদ আলম এর এজাহারের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের নামে রাউজান থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এর বিচক্ষণতায় পেশাদারিত্বের সাথে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। ইতিমধ্যে রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দীন নামে দুজন’কে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকান্ডে জড়িতদের সনাক্ত করা হয় এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ভুইয়া এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার্স সহ থানা এলাকায় রাত্রিকালীন ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধার অভিযান করা কালে গত ৫ তারিখ বুধবার রাত ০২.০০ ঘটিকার সময় রাউজান থানাধীন পাহাড়তলী বাজার এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, রাউজান থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আরাফাত মামুন রাউজান থানাধীন পূর্ব গুজরা ইউপিস্থ গরীব উল্যাহপাড়ায় আসামী আরাফাত মামুন এর মামা মোহাম্মদ আজম এর বসতঘরে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর আসামী আরাফাত মামুন এর মামা মোহাম্মদ আজম এর বসতঘর ঘেরাও করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী আরাফাত