
বিশ্বজুড়ে পাওয়া গাম অ্যারাবিকের ৮০ শতাংশই আসে সুদান থেকে। বাংলায় বহুল পরিচিত বাবলা গাছ বা অ্যাকাশিয়া গাছ থেকে সংগ্রহ করা এ প্রাকৃতিক উপাদান খাদ্য ও প্রসাধনীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কোকাকোলা থেকে শুরু করে এমঅ্যান্ডএমসের চকলেট, মুখরোচক সব খাদ্যপণ্যের অপরিহার্য উপাদান গাম অ্যারাবিক এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে এত পরিমাণে পাচার হচ্ছে যে তা সংঘাত থেকে পণ্যটির সরবরাহ চেইনকে আলাদা রাখতে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর প্রচেষ্টাকে ক্রমশ জটিল করে তুলছে।
ব্যবসায়ী ও শিল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের জাতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত বছরের শেষদিকে পশ্চিম সুদানের কোরদোফান ও দারফুর অঞ্চলের প্রধান গাম অ্যারাবিক উৎপাদনকারী এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এরপর সুদান থেকে ওই কাঁচামালের মা ঠিকঠাক যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিবেশী দেশগুলোতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে সুদানের গাম অ্যারাবিক ব্যবসায় জড়িত ৮ উৎপাদক ও ক্রেতার সঙ্গে কথোপকথন থেকে জানতে পেরেছে রয়টার্স।
ব্যবসায়ীরা এখন নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে গাম অ্যারাবিক বাজারজাত করতে পারছেন।
ফলে, এই নিয়ন্ত্রণের কারণে গাম অ্যারাবিক অবৈধ পাচারের ঘটনা বেড়েছে, যা সঠিক সার্টিফিকেশন ছাড়াই সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাচার হচ্ছে।
এই গাম বা আঠাল নির্যাসটি অপ্রাতিষ্ঠানিক সীমান্ত বাজার দিয়েও রপ্তানি হচ্ছে, বলেছেন দুই ব্যবসায়ী।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আরএসএফের এক প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের বাহিনী কেবল এই গাম অ্যারাবিক বাণিজ্যের সুরক্ষা দিচ্ছে, বিনিময়ে সামান্য ফি নিচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ায় আইনের লঙ্ঘন নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা প্যারামিলিটারি গ্রুপের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দাবি তার।
গত মাসে আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠায় মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে একটি সনদে স্বাক্ষরও করেছে।