হাত তালি খুশি উপভোগ কিলিয়ান এমবাপে। এরপর মাথা নাড়িয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে দারুণ এক ভঙ্গি করলেন। রেয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হ্যাটট্রিকের পর ক্যামেরার সামনে এভাবেই দেখা গেল তাকে। প্রতিটি গোলে আলাদা করে তার উদযাপন-উচ্ছ্বাস তো দেখার মতো ছিলই। ম্যাচের পর প্রত্যয়ী কণ্ঠে তিনি বললেন, এই ক্লাবে একটি যুগের নায়ক হতে চান তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এমবাপে। দ্বিতীয় লেগে ৩-১ আর দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের জয়ে রেয়াল মাদ্রিদ পা রাখল শেষ ষোলোয়।
রেয়াল মাদ্রিদে পা রাখার পর শুরুর কিছুদিনের জড়তা বেশ আগেই ঝেরে ফেলেছেন এমবাপে। সব প্রতিযোগিতাতে এখন গোল পাচ্ছেন নিয়মিত। তবে সেরা চেহারার সেই বুনো, বিধ্বংসী এমবাপের প্রতীক্ষা ছিল, ইউরোপ সেরার মঞ্চে যিনি গুঁড়িয়ে দেবেন প্রতিপক্ষকে। অবশেষে দেখা মিলল তার সেই রূপের, তাতে ঝলসে গেল ম্যানচেস্টার সিটি।
https://youtu.be/K2xqjEhZv3E
খারাপ খেলার জন্য তো এখানে আসিনি! এই ক্লাবে আসার স্বপ্ন পূরণ করতে পারা ছিল একটি ব্যাপার। তবে ভালো খেলার তাড়নাও ছিল। আমি একটি যুগ গড়ে দিতে চেয়েছি এখানে, রেয়াল মাদ্রিদে ইতিহাস গড়তেই এসেছি। সেই মানসিকতা নিয়ে খেলতে হতো আমাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে এমবাপের গোল হয়ে গেল এখন সাতটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল করে ফেললেন মোট ২৮টি। রেয়ালে প্রথম মৌসুমে তাকে এখন দারুণ সফল বলতেই হবে!
অথচ শুরুর কিছুদিনে যখন মানিয়ে নেওয়ার লড়াই চলছে, তখন বেশ সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল তাকে। এখনকার এই সুসময়ে উঠে এলো শুরুর সেই দুঃসময়ের কথা। এমবাপে বললেন, তার ভেতরে বিশ্বাসটা ঠিকই ছিল।
যেভাবে তা গোলের রথ ছুটছে, তাতে মৌসুমে ৫০ গোল করাও এখন অসম্ভব মনে হচ্ছে না। এল চিরিঙ্গিতে টিভির সংবাদকর্মীর কথাটা শুনে এমবাপেও বেশ মজা পেয়ে গেলেন।
সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই আমার। ক্যারিয়ারে অনেক গোল করেছি। কিন্তু সেসবের কোনো মূল নেই, যেখানে শিরোপাই জিততে পারিনি। এবার এই গোলগুলির পথ ধরে যদি আমরা শিরোপা জিততে পারি, তাহলে রক্তের বন্ধন গড়ে উঠবে। ৫০ গোল করতে পারলে খুবই ভালো। কিন্তু আমার শুধু চাওয়া শিরোপা।